চিরদিনের জন্য চলে গেলেন সিডনীর ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক তানভীর হায়দার
বাংলাদেশের কুমিল্লার
কৃতি সন্তান ও সিডনীর স্বনাম ধন্য ব্যবসায়ী জনাব তানভীর হায়দার করোনায় আক্রান্ত
হয়ে বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইনল্লা ইলাহি রাজেউন) । মৃত্যুকালে তানভীর
হায়দারের বয়স হয়েছিল ৭০ বৎসর। সিডনীতে যখন অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এ দেশে এসেছিলেন
পড়াশুনার জন্য তানভীর হায়দারও ৭৫ সালে হোটেল এডমিনিষ্ট্রেসন বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য ইনিষ্টিটিউড অব টেকনোলজির ( বর্তমানে UTS) অধিনে ছাত্র হিসাবে সিডনিতে আসেন। পড়াশুনার
পাশাপাশি এ দেশকে ভালবাসতে শুরু করেন। ভালবাসা থেকেই এ দেশে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে
ব্যবসা শুরু করেন। অনেক ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সিডনীর
নর্থ সাউথ এলাকায় Tandoori House এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রোজেন মাছ আমদানী
এবং রিয়েল এস্টেট। এ দেশে আসার পর অনেক্ বাংলাদেশীদের তার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে
চাকুরী দিয়ে সহায়তা করেন। সিডনীর মাসকটস্থ ফ্রোজেন Warehouse থেকে সুলভ মূল্যে দেশীয়
মাছ বিক্রি করতেন। মূলত: বাংলাদেশীরা তখন থেকে নিজ ফেলে আসা মাতৃভূমির সুস্বাদু মাছের
স্বাদ লাভ করেন। জনাব তানভীর হায়দার বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা
রাখেন। সিডনীর অত্যন্ত জনপ্রিয় বৈশাখী মেলার প্রারম্ভিক কালে সৌজন্যমূলক খিচুড়ী ও ইলিশ
মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। মরহুম তানভীর হায়দার ইলিশ মাছসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান
করতো যা অনেকের কাছেই অজানা। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এদেশের
ব্যবসা গুটিয়ে বাংলাদেশে শুধুমাত্র অষ্ট্রেলিয়ার
বিভিন্ন দ্রব্যাদি বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলেন যা অনেকেই উপকৃত হয়েছে। মরহুম তানভীর
হায়দার এক কন্যা, মা ও ভাইবোনসহ অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন,
বন্ধু-বান্ধব, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রভাত পরিবারের পক্ষ মরহুম তানভীর হায়দারের আত্নার
মাগফেরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ তা’য়ালা যেন বেহশত নসীব করেন। এবং শোকসপ্ত
পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
No comments