Header Ads


  • সিডনীর মারুবা এলাকার নিজ রুম থেকে এক বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার

     

    আতিকুর রহমান।। সিডনীতে যেন শোকের ছায়া যেন কমছেই না ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। মাত্র কয়েক দিনে আগে সাড়ে তিন বৎসরের শিশু চির দিনের জন্য চলে গিয়েছে। এর মধ্যে আরেকটি দু:সংবাদ সিডনীর কমিউনিটির শোকের ছায়া ফেলেছে। সিডনীতে অত্যন্ত নির্জন ও নিরবে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী মো: আহসান উল্লাহর লাশ নিজ রুম থেকে পুলিশ উদ্ধার করা হয়েছে। মো: আহসান উল্লাহ সিডনীর মেট্রাভিলের কাছে মারুবাস্থ সরকারি হাউজিং কমিশনের একটি ইউনিটে বাস করতেন। নিকটস্থ বন্ধু-বান্ধব বা আত্নীয়স্বজন বিহীন তিনি একাই বাস করতেন। সম্প্রতি তার পূর্বের কর্মের নিকটস্থ এক শুভাংখী তাকে দেখতে উক্ত ইউনিটে গেলে অনেক চিঠি রুমের বাহিরে পড়ে থাকায় সন্দেহ হয়, তখন পাশের ইউনিটের বাসিন্দাদের কাছ থেকে কোন তথ্য না পেয়ে মারুবা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে আহসান উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে। ধারনা করা হয়েছে দীর্ঘদিন লাশটি ঐখানে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ লাশ পরীক্ষা নিরাক্ষা বা পোষ্ট মর্টোম করার জন্য লিডকম Forensic Medicine & Coroners Court Complex এ পাঠানো হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নিকটস্থ শুভাংখী বা বন্ধুকে কোন রির্পোট প্রেরন করেনি। পুলিশ নিকট কোন স্বজন না পাওয়ার ফলে এ বিলম্ব হচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে সিডনীর অন্যতম বৃহত্তম সংগঠনের সভাপতি ড. আনিছুল আফছার ইতিমধ্যেই মো. আহসান উল্লাহর লাশের দাফন করার উদ্যোগে গ্রহন করেছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে মৃত আহসান উল্লাহের একমাত্র শুভাংখীও। খুব দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন উভয়ই। তবে পরবর্তীতে কমিউনিটির সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধি মরহুম আহসান উল্লাহর সর্ম্পকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মরহুম আহসান উল্লাহের দেশের বাড়ী ছিল নোয়াখালী জেলায়। প্রায় ত্রিশ বৎসর যাবত সিডনীতে বসবাসরত ছিলেন। প্রথম দিকে সিডনীর ধনী এলাকা খ্যাত ডাবল বে (Double Bay) তে বাংলাদেশী মালিকাধীন একটি ইন্ডিয়া রেষ্টুরেন্টে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। রেষ্টুরেন্ট মালিক বলেন, আহসান উল্লাহ ছিলেন অত্যন্ত কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান। যেখানেই নতুন ব্যবসা খুলেছি সেখানেই সে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন। রেষ্টুরেন্ট বন্ধ করার পর আর কোন যোগাযোগ করেননি। পরবর্তীতে আহসান উল্লাহ লন্ড্রিতে কাজ করেন দীর্ঘদিন। বন্ধু ও আত্নীয়স্বজন বিহীন তিনি কিডনী সহ অনেক জটিল রোগে অসুস্থ ছিলেন। পরে তিনি কখন রুমে মৃত্যু হয় তা এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশের পূর্নাঙ্গ রির্পোট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। মরহুম আহসান উল্লাহের সংবাদ বিভিন্ন  মিডিয়া প্রকাশিত হওয়ার পর কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুম সর্ম্পকে যে কোন তথ্য জানা থাকলে মারুবা পুলিশ ষ্টেশনে অথবা মরহুমের নিকটস্থ শুভাংখী বা এএমডব্লিউসি ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি ড. আনিছুল আফছারের নিকট জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। প্রভাত পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুম আহসানউল্লাহর আত্নার মাগফেরাত ও দোয়া কামনা করছি।

    No comments

    Top Ad

    Top Ad

    Post Bottom Ad

    ad728